October 25, 2024, 2:28 am

সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি ও কয়েদির সাথে মারামারি ৭ম আন্তর্জাতিক Flight Safety Seminar 2024 এর সমাপনী অনুষ্ঠান বিগত ১ বছরে দুবার ঝড়ে কপাল পোড়েছে কয়রা বাসির দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তবুও নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিনকে গাজীপুরে পদায়ন সাবেক কমিশনার হারুনের দাপটে বসত ভিটে ছড়া এক দম্পতি   খুলনা কয়রায় হামলা করে আসামি ছিনতাই, ৫ পুলিশ সদস্য আহত খুলনা পাইকগাছায় বিগত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ আহত ৫৬  কয়রায় এক নারী বাসা বাড়ি কাজ করতে করতে বর্তমানে চা বিক্রি করেই স্বাবলম্বী কয়রা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময় সভা  আন্তরজাতকি এয়ারট্রাফকি কন্‌ট্রালারূক্স ডে উদযাপন

সেতু আছে রাস্তা নেই সেতুতে উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো বেয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নির্মাণের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫ মাস পেরিয়ে গেলেও হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক। ফলে প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে ভোগান্তি। লালমনিরহাটের সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ইটাপোতা ছড়ার উপর নির্মিত ওই সেতুটি যেন এখন লোক দেখানো তামাশা মাত্র।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন সূত্র জানায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৮ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ইটাপোতা ছড়ার (বিল) ওপর ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থ একটি ব্রিজ নির্মাণের বরাদ্দ দেয়।

সেতুটির নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শেষ হয়। ওই মাসেই সেতুটি হস্তান্তর করার কথা ছিল। সেই মোতাবেক ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিও ছিল। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি এখনো হস্তান্তর করেননি ঠিকাদার লিটন ইসলাম। তবে ঠিকাদারকে ৮০ শতাংশ বিল দেওয়া হয়েছে।এদিকে নিজ উদ্যোগে এলাকাবাসী বাঁশ দিয়ে বানানো সাঁকো দিয়ে সেতু পার হওযার ব্যবস্থা করেছেন।

সেটিও ভেঙে যাওয়ায় এখন ঝুঁকি নিয়েই বাঁশের সাঁকো বেয়ে সেতু পাড় হচ্ছেন স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।এই সেতুর উপর দিয়ে ইটাপোতা, বনগ্রাম, ছড়ারপার, খারুয়া ও বুমকা গ্রামের প্রায় ১০হাজার মানুষ চলাচল করেন।

তারা আগে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতেন সেটাই তাদের জন্য ভালো ছিল। কিন্তু নির্মিত সেতুটি এখন তাদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এ ব্যাপারে ঠিকাদার লিটন ইসলাম বলেন, বন্যার কারণে সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণে দেরি হচ্ছে। এ ছাড়া সংযোগ সড়কের জন্য মাটিও পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য স্থান থেকে মাটি এনে সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হবে।তবে স্থানীয় মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কয়েকবার বলেছি।

তারা মাটি না পাওয়ার অজুহাতে রাস্তার কাজ শুরু করছে না।এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি কথা শুনছেন না। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে সংযোগ নির্মাণকাজ শেষ করা না হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, মোগলহাটের ইটাপোতা ছড়ার উপর নির্মাণ করা ব্রিজের সংযোগ সড়ক স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন